Description
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরসাপাত আম (জি-আই পণ্য)
আমের পরিচিতি
স্থানীয়ভাবে খিরসাপাত আম, খিরস্যাপাত আম , ক্ষিরস্যাপাত আম, ক্ষীরসাপাত আম যা অনেক সময় হিমসাগর নামেও পরিচিত, বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত এবং জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) স্বীকৃত আম। ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি এই আম বাংলাদেশের তৃতীয় জি-আই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এর উৎপত্তিস্থল চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং এটি সম্পূর্ণরূপে এখানেই উৎপাদিত হয়।
আমের বৈশিষ্ট্য
- আকৃতি: মাঝারি, ডিম্বাকৃতি; গড় দৈর্ঘ্য ৮.৬ সেমি
- ওজন: ২৫০–৩৫০ গ্রাম
- ত্বক: হালকা হলুদাভ
- শাঁস: হলুদ, আঁশবিহীন, অত্যন্ত রসালো
- মিষ্টতা: কড়া মিষ্টি
- খাদ্যযোগ্য অংশ: ৬৭.২%
- গন্ধ: আকর্ষণীয় সুগন্ধি
উৎপাদনের ইতিহাস
খিরসাপাত আমের উৎপাদন শুরু হয় প্রায় ২০০ বছর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, কানসাটে। ময়মনসিংহের মহারাজা সুতাংশু কুমার আচার্য্য বাহাদুর এখানে প্রথম একটি আমবাগান স্থাপন করেন। পরবর্তীতে এটি সমগ্র অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৫৫ সালে স্থানীয় ‘আলকাপ’ গানে এই আমের উল্লেখ পাওয়া যায়।
আমের চাষাবাদ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলায় খিরসাপাত আমের চাষ হয়। বছরে প্রায় ৩৪০০ হেক্টর জমিতে ৩৫,০০০ টন খিরসাপাত আম উৎপাদিত হয়। মে মাসের শেষ দিকে ফল পাকা শুরু করে এবং জুন মাসে বাজারে আসে। গাছ থেকে পেরে ঘরে ৬–৮ দিন সংরক্ষণ করা যায়।
খিরসাপাত বনাম হিমসাগর
অনেকেই খিরসাপাত ও হিমসাগর আমকে একই মনে করেন। তবে এই দুইটি আলাদা জাত। খিরসাপাত উৎপন্ন হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জে, আর হিমসাগর মূলত পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার পণ্য। খিরসাপাতের শাঁস বেশি মিষ্টি, আঁশবিহীন ও রসালো।
চাহিদা ও রপ্তানি
জিআই স্বীকৃতির পর খিরসাপাত আমের আন্তর্জাতিক চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যসহ বহু দেশে এটি রপ্তানি হচ্ছে। ২০২৪ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ১৩৩ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানি হয়েছে।
কেন Chapai Organic Food থেকে কিনবেন?
- ১০০% খাঁটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত (জি-আই) আম
- কোনো ফরমালিন/কেমিকেল ছাড়াই উৎপাদিত
- প্রাকৃতিকভাবে পাকানো ও সতেজ আম
- বাংলাদেশজুড়ে হোম ডেলিভারি
- অনলাইন পেমেন্ট, WhatsApp, Facebook Page সাপোর্ট
কীভাবে অর্ডার করবেন?
আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন: www.chapaiorganicfood.com
WhatsApp: 01741133640
Facebook Page: Chapai Organic Food
Reviews
There are no reviews yet.